নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের দেলোয়ার বাহিনীর প্রধান দেলোয়ার হোসেন ও তার সহযোগী আবুল কালামের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেছেন বিবস্ত্র করে নির্যাতনের শিকার সেই নারী (৩৭)। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী।
মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, গত ২ সেপ্টেম্বর দেলোয়ার বাহিনীর সদস্যরা বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনার আগে দেলোয়ার দুবার তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। প্রায় একবছর আগে প্রথমবার তাকে ধর্ষণ করা হয়। চলতি বছর রোজা শুরুর কিছুদিন আগে তাকে দ্বিতীয়বার ধর্ষণ করে দেলোয়ার। দ্বিতীয়বার দেলোয়ারের সহযোগী কালামও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ হারুন-অর-রশিদ চৌধুরী মামলা হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দেলোয়ার বর্তমানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় র্যাবের দায়ের করা অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে আছে। তাকে নির্যাতিতা নারীর দায়ের করা আগের দুটি মামলায় গ্রেপ্তারের জন্য গতকাল মঙ্গলবার আদালতে আবেদন করা হয়েছে। দেলোয়ার হোসেনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে। এ ছাড়া মামলার আরেক আসামি আবুল কালামকে গ্রেপ্তারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।’
এর আগে গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তদন্ত দলের কাছে নির্যাতনের শিকার ওই নারী এসব তথ্য জানান। তদন্ত দলের প্রধান মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মিলনায়তনে উপস্থিত সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে ওই অভিযোগের কথা বলেন।
নির্যাতনের শিকার সেই নারীর বরাত দিয়ে আল-মাহমুদ ফয়জুল কবীর বলেন, ‘নারীর অভিযোগ অনুযায়ী দেলোয়ার প্রায় সময় তাকে কুপ্রস্তাব দিতেন এবং হুমকি-ধমকি দিতেন। বছরখানেক আগে দেলোয়ার ঘরে ঢুকে তাকে প্রথমবার ধর্ষণ করেন। এরপর গেল রমজানের কিছুদিন আগে দেলোয়ার তার সহযোগী কালামের মাধ্যমে তাকে একটি নৌকায় ডেকে পাঠান। সেখানে দেলোয়ার ও কালাম দুজনই তাকে ধর্ষণ করতে চান। দেলোয়ার নৌকায় দ্বিতীয়বার তাকে ধর্ষণ করেন।’
Leave a Reply